বাঁচবে শিশু?
-রাজীবলোচন বালা
চেয়ে দেখি পৃথিবীতে “আমরা” মানুষ! জ্যান্ত লাশ !!
আহার-বিহারে ঘটাই সর্বনাশ।
ঈশ্বরের অমোঘ সৃজনশীল মানুষ আজ,
তাকেই নিয়ে করছে বিধ্বংসী সাজ!
কি হাহাকার আর যুদ্ধাভিমুখী রণের তলে_ কত শিশু হল অকালেই স্খলিত, বোঝা হল না মানুষ্যের চাল।
প্রাসাদ গড়ালে, ইমারত গড়ে দিলে মাটি ঢেকে,
মনের কীঙ্কর- জেগে ওঠে লুঠতে মানুষের লাজ!
রাত-রজনী ভাবনার মাঝে, মানুষ হল কলহ প্রিয়,
নৈতিকতার অন্দরে আজ ঘুন ধরেছে কতশত,
স্বার্থান্ধ আর লোলুপতায় দিকভ্রান্ত মনুষ্যের দলে
জাতাজাতির পরিখা কেটে, ভাই মারল ভাইয়েরে,
অশনী সংকেতের দুন্দুভি! বাজল বোধয় সংসারে।
চাই না হতে, এমন মানুষ ধর্মের কল নড়িয়ে দিয়ে,
গরল এনে ঢেলে মানুষ প্রাণে।
মানুষ এত এগিয়ে গেছে, একে অপরকে মারিয়ে,
ইতিহাস তার সাক্ষ্য-প্রমাণ, দেখি ঘরে-বাইরে।
“আমরা” কারা, হ্যাঁ! ছোট্ট শিশুর দল_
প্রাণজলে ভরা হৃদয় গেলেই হব যে খল…! নায়ক
বাঁচবে শিশু? বাঁচতে দেবে মানুষ, তাই আজ হায়
পথ হারিয়ে ফেলেছি, এ মানুষ কি পৃথিবীতে বসবাসের উপযুক্ত?
চাই না এই সংসারে, হতে নাড়ু- গোপাল
বাড়ির ভিতর শান্ত চিত্তে দেখতে, মনুষ্যত্বের ক্রম অধঃগমন।
হতে চাই রাখাল ছেলে, ধরতে লাঙ্গলের হাল,
এই পথেই আসবে শান্তি ধরলে কৃষকের পাল;
হতে চাই মানুষ আজব, শিশুর স্বভাবেতে,
মা মা মা বলে হাটবো মোরা,পড়ে প্রেম-প্রীতির চাদর গায়।
মানুষ হল অবিসংবাদী, চরম সত্য মত,
হয়ে মানুষ, চলার পথে গলে মিলব মোরা সব।
তপোবনের দেশে থাকি, মানুষ কেন নয়,
যে মাটিতে মন্দির গড়ি, একইতে হয় মসজিদ,
ভালো করে দেখ চেয়ে, ধর্মে নাই কোন ভেদা-ভেদ,
লোকানুকম্পায়ে, চির হৃদয়বত্তায় গাইবো মোরা মানবের জয়গান।
জন্মদাত্রী মা’যে মোদের কত অভাগিনী,
সন্তানের এই অধঃনমন কইতে না পারে আর।!!!
মানুষ হয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম মনুষত্বের গাইব জয়গান।
ভুললে ইহা মিলবে তবে কলঙ্কের হার।
মমার্থ বুঝে গহন কুঞ্জে মানুষ দেখিবারে,
হৃদয় মোদের একই মালায় গাঁথতে হবে তবে।
কত আশা মা-জননী এই বসুন্ধরার,
সন্তানেরা একই সাথে হতে চায় মোর জীবনচরিত্রাধার।
গুলি ফোটে বুকে ধরাশয়ী হয় মুক্ত পাখি আজ স্বার্থ দ্বন্দ্বে,
ফিরে কি পাবে সন্তানহারা রাজেশ, তাপস আর বারীণ সহ হাজারো মা ?
প্রশ্নটা জ্বালায়, থেকে যায় অন্তরে বেদনা তা মাত্রাতীত।